মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসদের প্রতি ঘৃণা জানাতে ‘ঘৃণা স্তম্ভ' তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার৷
আগামী ২৫ মার্চের
আগেই এর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক৷ গত ১৯ জুন সংসদকে তিনি এই স্তম্ভ তৈরির পরিকল্পনার কথা
জানান৷
মন্ত্রী বলেন,
‘‘আমরা এই কাজের জন্য কয়েকজন স্থপতিকে দায়িত্ব দিয়েছি৷ নকশা চূড়ান্ত হলেই নির্মাণকাজ
শুরু করব৷ প্রাথমিকভাবে এই ঘৃণা স্তম্ভ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপনের পরিকল্পনা আছে৷
আগামী ২৫ মার্চের আগেই এই কাজ শেষ হবে৷ ২৫ মার্চ এই স্তম্ভ উদ্বোধন করা হবে৷ এজন্য
সংসদে আইন পাস কিংবা মন্ত্রিসভার কোনো সিদ্ধান্ত লাগবে না৷ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
সিদ্ধান্তই যথেষ্ট৷''
মোজাম্মেল হক
বলেন, ‘‘পাকিস্তান এর বিরোধিতা করতে পারে, স্বাধীনতা বিরোধীরা করতে পারে৷ কিন্তু আমাদের
নিজেদের মধ্যে কোনো বিরোধিতা নাই৷ আমরা মনে করি, এই ঘৃণা স্তম্ভের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগীরা যে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের মতো জঘন্য
অপরাধ করেছে, তা জানতে পারবে৷''
তিনি বলেন, ঘৃণা
স্তম্ভে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে জাতি গণহত্যায় জড়িতদের নানাভাবে ঘৃণা জানাবে৷ স্টিলের
তৈরি এই স্তম্ভে গণহত্যাসহ মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির ওপর নির্মম নির্যাতনের চিত্র
তুলে ধরা হবে৷
অবশ্য আলাদা করে
ঘৃণা দিবস করার দরকার নেই বলে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী৷ ‘‘২৫ মার্চ গণহত্যা
দিবসেই ঘৃণা জানানো হবে,'' বলেন তিনি৷
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন