Child Care

বিকেন্দ্রিকরণ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসন (A Rehabilitation Program for the Children of Bangladesh)


১. সমগ্র বাংলাদেশে রয়েছে মোট ৮৬ হাজার বিপন্ন শিশু বা পথশিশু। তাদের সবাইকে গ্রামে নিয়ে পুনর্বাসন করা সম্ভব। যেহেতু দেশের মোট গ্রাম সংখ্যা ৮৬ হাজার। প্রতিটি সম্পূর্ণ গ্রামের দায়িত্ব পড়বে একটি শিশুকে খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান দেওয়ার। শহরের রাস্তায় আমরা যখন একটি অনাহারী মেয়েকে ১০ টাকা দিই এটা ভাবিনা যে সে রাত্রে কোথায় থাকবে। কিভাবে রাতের রাজপথের হায়েনাদের কাছ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখবে। তার জন্য খাদ্য, বস্ত্র যেমন দরকার প্রয়োজন তার নিরাপদ আশ্রয়। তারপরই তাকে কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা যাবে। এক সময় সে নিজে  অর্জন করার মত হয়ে উঠবে। (১-১৮ বছরের বয়সসীমার মধ্যে সকলেই শিশু বলে গণ্য হবে)


২. প্রতিটি গ্রামে ১ জন করে বিপন্ন শিশুকে নিয়ে যাওয়া সরকারের তত্বাবধানে হবে, এটা খুব সহজ কাজ নয়। ঐ ৮৬ হাজার শিশু বা শিশু পরিবারে এটা হবে যে, যেমনএকটি বিপন্ন মহিলার ২টি বাচ্চা আছে। অর্থাৎ তারা ৩ জন। স্বাভাবিকভাবে তাদের ৩ জনকে ৩টি গ্রামে সেট করা উচিত হবে না, তা সম্ভবও নয়। সেক্ষেত্রে ৩টি গ্রাম মিলে ১ টি ইউনিট হবে। এই ইউনিটের দায়িত্ব হবে এই ৩ সদস্যের পরিবারকে সকল সেবা প্রদান করা। যদি এরকম ৫ সদস্যের বিপন্ন পরিবার হয় তখন ৫ টি গ্রাম মিলে যে একটা ইউনিট হবে তারা ঐ পরিবারকে সাপোর্ট দেবে।

৩. বিপন্ন মানুষদের সমস্যা সমাধান করতে হবে বিকেন্দ্রিকরণ পদ্ধতিতে। রাজধানী থেকে গ্রামের দিকে তাদেরকে নিয়ে গিয়ে। কেন্দ্রিকরণ নিয়মে প্রথাগত ভাবে যেভাবে এখন বিপন্ন মানুষরা ঢাকা বা সিটি কর্পোরেশন ও বড় বড় শহরগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে, শহরের রেল ষ্টেশনে, পথের ধারে পড়ে থাকছে, মানবেতর জীবপন যাপন করছে, ভিক্ষা বৃত্তি করছে, তাদের কারণে কিছু গ্রুপ সুযোগ পাচ্ছে- তারা ভাল মানুষদেরকেও পঙ্গু করে ভিক্ষুক সাজিয়ে ব্যবসা করছে, বিকেন্দ্রিকরণ করা হল এই সব বন্ধ হবে। সব বিপন্ন মানুষ রেল ষ্টেশনে, পথে প্রান্তরে বা বস্তিতে পরিবেশ নষ্ট করছে, তারা অসামাজিক পরিবেশে থেকে অভাব ও ক্ষুধার তাড়নায় সহিংস ও সন্ত্রাসী হয়ে উঠছে, তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে গ্রামে নিয়ে পুনর্বাসন করা গেলে এসব বন্ধ হবে। এভাবে সমগ্র দেশকে ভিক্ষা বৃত্তি হতে মুক্ত করা যাবে। সকল বিপন্ন মানুষ এবং প্রতিবন্ধী মানুষদেরকেও এভাবে পুনর্বাসন করতে হবে।

৪. উপরোক্ত ৩টি পয়েন্টেও কিছু প্রশ্ন থাকবে। যেমন বিপন্ন শিশুদের মোট সংখ্যা ৮৬ হাজার, এটা একটি দৃষ্টান্তমূলক হিসাব। বাস্তবে এ সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। ১ লক্ষ বা ২ লক্ষ বা তার চেয়েও বেশি হতে পারে। তখন বাড়তি শিশু বা তাদের পরিবারকে কোথায় কিভাবে সেট করা হবে? এর উত্তর হচ্ছে যদি তাদের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ ৬০ হাজার হয় সেক্ষেত্রে প্রতিটি গ্রামে সেট করতে হবে ১০ জনকে। (৮৬ হাজার গ্রাম × ১০ জন = ৮ লক্ষ ৬০ হাজার জন)। তখন ১ টি গ্রামের সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে ১০ জনকে সেবা দেওয়া অসম্ভব নয়। কারণ প্রতিটি গ্রামে এমন লোকও আছে যিনি হয়তো শহরের ইন্ডাষ্ট্রিয়ালিষ্ট ব্যবসায়ী,  যিনি একাই ১০ জনকে সাপোর্ট দিতে পারবেন। 

৫. তাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদি মেক আপ হওয়ার পর প্রয়োজন হবে অন্যান্য কাজ যেমন- ঔষধ, চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির জন্য। এজন্য যে ফান্ড থাকবে তা হবে স্কুল ফান্ড বা অফিস ফান্ড। এতে যাদের স্যলারি ১০ হাজার টাকা বা তার বেশী তার থেকে ১% করে নেওয়া হবে। যেমন যার স্যালারি ১২ হাজার তার থেকে ১২০ টাকা রাখা হবে। যার ২০ হাজার তার থেকে ২০০ টাকা করে স্যালারি প্রদান করার সময় কেটে নেওয়া হবে। (কিন্তু যার স্যালারি ৯ হাজার টাকা তার থেকে কিছুই রাখা হবে না) এতে একটি উপজেলায় প্রতি মাস শেষে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা এই পুনর্বাসন ফান্ডে  আসবে। যা কোন কর্মকর্তার পক্ষে ভুল হিসাব দেওয়া বা লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। রিসিট কেটে টাকা তোলা, টাকা সংগ্রহ কারী ভূয়া রিসিট বানিয়ে আত্মসাৎ করা, ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হবে না। এখান থেকে তাদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বী করা হবে। এতে ১০ জন বিপন্ন ও প্রতিবন্ধী শিশুর মধ্যে ৮ জনই যোগ্য ও কর্মক্ষম হয়ে উঠবে। বাকী ২ জনকেই উক্ত কমুনিটি ভিত্তিক সামাজিক সহযোগীতা অব্যহত রাখতে হবে। 


৬. এই কর্মসূচীতে সচেতন নাগরিকদের করণীয় কি? এরকম কোন কর্মসূচী সরকারের নিকট তুলে ধরা। সরকার বললেই সবাই করবে, যদি এটাকে এমন ভাবে বাধ্যতামূলক করা হয় যেভাবে ট্যাক্স দেয় তারা। কিন্তু যেহেতেু এটা একটি বাড়তি চাপ মানুষের নিকট মনে হতে পারে, তাই সচেতন নাগরিক সমাজ ও জনমত সৃষ্টি হলেই সরকার এটা করবে। তাই জনমত সৃষ্টিই প্রথম কাজ। অথবা এটা যাদের কাছে যদি চাপ মনে হবে তারা ব্যতীত- যারা ইচ্ছুক তারা সহযোগীতা করবে। এজন্য প্রতিটি গ্রামের জন্য বা গ্রাম ইউনিটের জন্য বা ইউনিয়নের জন্য একটি স্কুলকে দায়িত্ব দিতে হবে। 

৭. এই সব কাজে, সব সেক্টরে (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সেক্টরে) এনজিওরা কাজ করছে। প্রতিটি উপজেলায়, জেলায়, বিভাগে, দেশে, জাতীয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও এনজিওরা কাজ করছে। তারপর দারিদ্র ও বিপন্ন মানুষ ও শিশুদের সমস্যা ও সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এর কারণ হচ্ছে এনজিওদের প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতা ও ফান্ড ব্যায়ে অস্বচ্ছতা। একটি জেলায় যদি ১০ হাজার বিপন্ন মানুষ থাকে এনজিও সমূহের আওতায় থাকে ১ হাজার, আর বাকী ৯ হাজার জন থাকে এর বাইরে। আর এনজিওরা প্রায়ই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে সাপোর্ট দেয়। সব সময়ের জন্য নয়। মোট কথা গোটা সমাজকে বাদ রেখে শুধু মাত্র প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিপন্ন মানুষদের সমস্যা নিরসন করা সম্ভব নয়, কিন্তু যদি সমগ্র কমুনিটি বিপন্ন মানুষদেরকে খুব সামান্য অংশ হারে সহযোগীতা দেয় তাতেও পুরো দেশে তারা পুনর্বাসিত হতে পারে। 

৮. একটি সভ্য সমাজে ১০ জন খাবে, আর ১ জন না খেয়ে থাকবে- তা হতে পারেনা। ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে ২ লক্ষ শিশু রাস্তায় পড়ে থাকবে। তারা শীতে কষ্ট পাবে, বৃষ্টিতে ভিজবে, তা হতে দেওয়া যায় না। তারা আমাদেরই সন্তান। তারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নিরাপদ বাসস্থান ও পরিবেশের অভাবে । তাদেরকে এখান থেকে উদ্ধার করে আনতে হবে। নয়তো স্রষ্টার প্রতিনিধি হিসাবে আমরা প্রত্যেকেই প্রশ্নবিদ্ধ হবো। আমাদের ইবাদাত বা উপাসনা সব কিছুই। কারণ স্রষ্টা পৃথিবীতে মানুষের প্রয়োজনের চেয়েও কয়েকগুন বেশি খাবার পানীয় বাসস্থান দিয়েছেন। কারো জন্য কম পড়ার কথা নয়। ভোগী মানুষরা ১০ /২০ গুন ভোগ করছে, নষ্ট করছে, ফেলে দিচ্ছে। তারপরেও যা থাকছে বিপন্নদের মাঝে ঠিক ভাবে বন্টন হচ্ছে না।  

৯. এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের সকলকে ভাতার আওতায় আনতে হবে, যাদের বহুমূখী প্রতিবন্ধীতা তাদের জন্য বেশি ভাতা নির্ধারন করতে হবে। এটা সাময়িকভাবে সম্ভব না হলেও অন্য সকল কর্মসূচী কঠিন নয়। 

১০. এই কাজগুলো করা হবে প্রতিটি গ্রাম বা ইউনিটের জন্য নির্দিষ্ট একটি স্কুলের দায়িত্বে। কোথাও স্কুল না থাকলে বা কোন কারণে স্কুলের দ্বারা তা সম্ভব না হলে গ্রাম প্রধান/ মসজিদের ইমাম/ মন্দিরের পুরহিতদেরকেও এই কাজে সংযুক্ত করার প্রয়োজন হতে পারে। এই কর্মসূচীতে শিশুর বা তার পিতা মাতার ধর্ম, বর্ণ জাত গোত্র কোন পার্থক্য করা যাবে না।

১১. প্রথম পর্যায়ে শুধু বিপন্ন শিশুদেরকে, ২য় পর্যায়ে শিশু ও তার পরিবারকে এবং ৩য় পর্যায়ে সকল বিপন্ন মানুষকে ও প্রতিবন্ধী মানুষকে পুনর্বাসন করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে তাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। এবং তাদের চাকুরী বা ব্যবসা নিশ্চিত করা পর্যন্ত সাপোর্ট দিতে হবে। অভিজাত কোন পরিবারের কোন বদ্ধ কুঠুরীতে যেসব শিশুরা গৃহভৃত্য হিসাবে কাজ করছে তাদের মধ্যে কেউ নিগৃহিত ও অতিরিক্ত শিশু শ্রমের শিকার কিনা তাও আইডেন্টিফাই করতে হবে।

১২. মনে রাখতে হবে  যারা প্রতিবন্ধী নয় শুধু বিপন্ন বা অক্ষম তারা অনেক সময় সুযোগ সুবিধার অভাবে অক্ষম। আবার প্রতিবন্ধীদের মধ্যে অনেকে বেশ সক্ষম। অনেক ধনী পরিবারের প্রতিবন্ধী শিশুরা ভাল কেয়ার পাচ্ছে। তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা নিরন্তর থাকলো। কিন্ত সেই প্রতিবন্ধী শিশুরা এই কর্মসূচীর লক্ষ্য নয়। কারণ তারা ঠিকভাবে আছে।

১৩. এই কর্মসূচীর জন্য ৬৪ টি জেলায় ১ জন করে জেলা সমন্বয়কারী, প্রতিটি উপজেলায় ১ জন উপজেলা সমন্বয়কারী, স্কুল প্রতিনিধি (স্কুল শিক্ষিকা) / কলেজ / স্কুল দ্বারা মনোনীত ১/২ জন ছাত্রী যিনি/ যারা কমপক্ষে ৩টি গ্রাম / ১ টি ইউনিয়নকে ভলান্টিয়ারি সার্ভিস দেবেন। সমন্বয়কারীরা হবে স্কুল /কলেজের ছাত্রী / শিক্ষিকা / বেতনভুক্ত কোন নারী উন্নয়ন কর্মী। যদি নারীদের দ্বারা এই প্রোগ্রাম এরেঞ্জ করা হয় বিপন্ন শিশুরা সত্যিকারের কেয়ার পাবে।

১৪. শিশুদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে কারণ তারা সাহায্য চাইতে পারে না এবং তারা প্রতিকুল পরিবেশ হতে নিজেদেরকে রক্ষা বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কিন্তু একজন বিপন্ন মানুষ সাহায্য নিয়ে বা নিজেকে কোন ভাবে রক্ষা বা নিয়ন্ত্রণ করে কোনভাবে চলতে পারে।

১৫. পথ শিশুদেরকে কেউ ব্যক্তিগতভাবে আশ্রয় দিতে ভয় পায় কারণ তারা কিছু আত্মসাত করবে বা নষ্ট  করবে বা পালিয়ে যাবে। তারা অনেকে মাদকাসক্ত ও কুঅভ্যাস ধারন করছে ইতিমধ্যে। ঝুঁকি নিয়ে নিজের খেয়ে পরের মোষ কেউ তাড়াতে চায় না। কিন্তু নিজেদের নিরপত্তার জন্য সমাজের নিরাপত্তরার জন্য, নিজের রক্ষার জন্য। নিরাপদ পৃথিবীর জন্য এই কর্মসূচীতে সহযোগীতা করতে হবে।  ব্যক্তিগত ভয়ে এই কাজ কেউ করতে চায় না, সমন্বিত সামাজিক উদ্যোগ যদি নেয় কোন সরকার নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান তাহলে সবাই সহযোগীতা করবে।  যেসব সন্ত্রাসীরা দেশ বিরোধী কাজে লিপ্ত হচ্ছে, যারা কখনো শিশুদের স্কুলে গুলি চালাচ্ছে, কোন স্কুল ছাত্রীদেরকে অপহরন বা ধর্ষন করছে বা কোন স্কুল পড়ুয়া বা কোন ধনীর শিশুকে অপহরন করে মুক্তিপন চায় তারাও সম্ভবত এক সময় নিগৃহিত শিশু ছিল। তাদের এই ক্ষোভ আছে যে- আমি কেন স্কুলে যেতে পারলাম না। কি অপরাধ নিয়ে জন্মেছিলাম আমি।

১৬. যদি একটি গ্রামে ৩৬৫ পরিবার থাকে, তবে তাদের একটি পরিবার ১ দিন করে খাবার দিলে এই শিশুর বা তার পরিবারের একবছরের খাদ্যের ব্যবস্থা হয়ে যাবে, কিন্তু কোন পরিবারের খুব কষ্ট হবে না। যদি সমগ্র জাতি চেষ্টা করে তবে সবার সামান্য উদ্যোগে এই বিশাল কাজ সম্পন্ন হতে পারে।

১৭. এই শিশুদের মধ্যে অনেকে প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মেনি। কিন্তু পথের বিপন্ন পরিবেশে তারা অনেকে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। তাই, প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা যেন আর না বাড়ে। যেসব শিশুরা সামাজিক অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে বা ছিন্নমুলেই থাকছে তাদের বংশধরদের মাধ্যমে ছিন্নমুল ও অবক্ষয়ের শিকার জনগোষ্ঠির হার শতকরা আরো বাড়বে। তাই এই হার যেন ক্রমান্বয়ে কমে আসে সেজন্য সামাজিক উদ্যোগ নিতে হবে।

১৮. মূল কথা  মানুষের অনেক ছোট বড় অনেক সমস্যা আছে, যেমন লোড শেডিং, শিক্ষা ব্যবস্থায় সমস্যা, ঘুষ-দুর্নীতি ইত্যাদি, জ্যাম সমস্যা, ইত্যাদি সমস্যা হয়তো নিরসন হবে বা কখনো নিরসন হবেনা, কিন্তু খাবারের অভাবে ক্ষুধায় মানুষ মারা যাবে তা যেন না থাকে, কোন শিশু যেন পথে পড়ে না থাকে। এ দিকে বেশি জোর দিতে হবে। সমগ্র পৃথিবীতে ৫ কোটি শিশু আজ গৃহহারা, তাদেরকেও ঘরে ফিরিয়ে নিতে হবে। সেজন্য প্রত্যেক সংশ্লিষ্ট দেশের মানবতাবাদী নাগরিকদেরকে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই কর্মসূচীতে সমর্থন ও সহযোগীতা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।   

Child Care 
by Tarek Hasan & Monira Chowdhury 

Child Care, Rights and Rehabilitation (CCRR)
Updated : 05.09.2016

মন্তব্যসমূহ