গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জের পৌর এলাকার দুবাটি গ্রামের আক্তার হোসেন এর প্রতিবন্ধী
মেয়ে গৃহবধূ লাকি আক্তারের রহস্যজনক মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।

নিহত পরিবার সূত্রে জানা যায় সাত বছর পূর্ টঙ্গী চেরাগআলী এলাকার মৃত জব্বার আলীর ছেলে মোতাহার হোসেরন সাথে লাকী আক্তারের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়।

নিহত পরিবার সূত্রে জানা যায় সাত বছর পূর্ টঙ্গী চেরাগআলী এলাকার মৃত জব্বার আলীর ছেলে মোতাহার হোসেরন সাথে লাকী আক্তারের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়।
বিয়ের পর লাকির দাদা তার নামে কিছু জমি
দিতে চাইলে কৌশলে তার স্বামী দাদা শশুরের নিকট থেকে আড়াই কাঠা জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়।
সেখানে বসবাস করছিল তারা। বিয়ের পর লাকীর স্বামী আবার বিয়ে করে। তবে মাঝে মধ্যে লাকীদের
বাড়ী আসা-যাওয়া করতো। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে
তার স্বামী মোতাহার ক্রয়কৃত জমি বিক্রি করে টাকা দিতে লাকীকে চাপ প্রয়োগ করে। নিহতের বাবা আক্তার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে
পাশের বাড়ি মহসিনের মহসিনের মা লাকির বাড়ির গেটের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করে কিন্তু কোন
সাড়া শব্দ না পেয়ে তিনি চলে যান। পরে ওই দিন
সন্ধ্যায় মহিলা ফ্রিজ থেকে মাছ নেওয়ার জন্য আবার ডাকাডাকি করেও তাকেনা পেয়ে স্থানীয়দের
তিনি বিষয়টি জানান। পরে স্থানীয়রা মই দিয়ে প্রাচীর টপকিয়ে ভেতরে ঢুকে ঘরের সিঁড়িতে
লাকীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
জমি বিক্রি করতে বাধা দেওয়ার তার স্বামী পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ
করেছেন নিহতে পরিবার। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আলম চাঁদ জানান, লাকি দীঘদিন
যাবৎ শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। সম্ভবত সে স্ট্রোক করে মারা গেছে। পরে ময়নাতদন্তের পর তার
মৃত্যুর বিষয়টি জানা যাবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন