ভারতের বস্ত্রশিল্পে নারী শ্রমিকদের দুর্দশা

দিনে ১৬ ঘণ্টা অবধি কাজ, বাড়ি ছেড়ে দূরে থাকা, নামমাত্র পারিশ্রমিক৷ এভাবেই লক্ষ লক্ষ নারী কর্মী তামিলনাড়ুর স্পিনিং মিলগুলোয় কাজ করে চলেছেন৷ যেন এক আধুনিক দাসপ্রথা৷

লেখা নামের মেয়েটি একটু স্বাচ্ছন্দ্যের মূল্য চুকালো তার জীবন দিয়ে৷ লেখা যখন ষোড়শী, তখন একটি লোক এসে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে৷ লোকটি ছিল দালাল৷ কোনো স্পিনিং মিলের জন্য শ্রমিক সংগ্রহ করতে এসেছিল৷ কত ভালো চাকরি, তার কত সুবিধা – লেখার বাবাকে এসব বোঝায় সেই দালাল৷ বাবাও মেয়েকে তার হাতে ছেড়ে দিতে রাজি হয়ে যান৷



স্পিনিং মিলের কাজ করতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন, লেখার তা ছিল না৷ সে অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ জ্বর-বেদনা সত্ত্বেও তাকে কাজ করতে বাধ্য করা হয়৷ অথচ কোনো ওষুধপত্র দেওয়া হয়নি৷ শেষমেশ লেখাকে হাসপাতালে যেতে হয়৷ মোটামুটি সুস্থ হয়ে ওঠার পর তার বাবা আবার বলে-কয়ে তাকে মিলের কাজে ফিরতে রাজি করান৷ এর কয়েক সপ্তাহ পরেই লেখা কেঁদে-কেটে তার বাবাকে বলে, তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে, নয়ত সে মারা যাবে৷ ঘটেও তাই৷ বাবা লেখাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরদিনই মারা যায় লেখা৷ দুর্বল শরীর আর ধকল সহ্য করতে পারেনি৷


মন্তব্যসমূহ