www.voice-bangladesh.com
তথ্য সূত্র : গ্রামের
কাগজ, যশোর : মাদক বিক্রির প্রতিবাদ
করায় মসজিদ কমিটির
নেতাদের পরিবারের সদস্যদের
ছুরিকাঘাতে জখম করলো
যশোর শহরের বারান্দীপাড়া
নিচুতলার মাদক সম্রাট তালেব ও
তার লোকজন। শনিবার
সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার
করে স্থানীয় মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে ভর্তি
করেন।
স্থানীয়রা ও বারান্দীপাড়া নিচুতলা মসজিদ কমিটির নেতারা জানান, এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আবু তালেব গত ৬ মাস ধরে মসজিদ বাউন্ডারীর মধ্যে ইয়াবা বিক্রি করে আসছে। বিষয়টি মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে জানানো হলেও তারা কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। যে কারণে মসজিদ কমিটির অন্য সদস্যরা পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। বিষয়টি জানার পর শনিবার সকালে মসজিদ কমিটির
সভাপতি বিষয়টি তালেব ও তার সহযোগী মনাকে জানান। এরপর থেকে মনা মসজিদ কমিটির সদস্য মানিক,
মতিন, হিরু, শফিক ও মিন্টুকে হুমকি দেয়া শুরু করে। এমনকি সদস্য মানিকের বাবা শহিদুল ইসলাম
শহিদকে ফোনে হুমকি দেয়। বিষয়টি জানার পর শহিদুল ইসলাম শহিদের ছেলে সাইফুদ্দিন ইসলাম
জুয়েল প্রতিবাদ করেন। শনিবার সন্ধ্যার পূর্ব বারান্দীপাড়ার আব্দুল হাইয়ের চায়ের দোকানে
গেলে আবু তালেব ও মনার নেতৃত্বে সাজ্জাদ, কসাই মনি, মিজানসহ বেশ কয়েকজন জুয়েলের উপর
হামলা চালায়। এসময় তাকে মারপিট ও ছুরিকাঘাতে জখম করা হয়। তাকে রক্ষা করতে নিচুতলা এলাকার
গাজী হিরু এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করে জখম করা হয়। রড দিয়ে পিটিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে
দেয়া হয়। এসময় হান্নান নামে এক যুবক চায়ের দোকানে চা নিতে গেলে তাকেও পিটিয়ে জখম করে।
এরপর হামলাকারীরা স্থানীয়দের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে জুয়েলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায়
তাকে ভর্তি রাখা হয়। অন্যরা শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এদিকে আবু তালেব, মনা, সাজ্জাদ
ও কসাই মনির এর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের নামে মামলা করেন জুয়েলের পিতা
শহীদুল ইসলাম শহীদ। উক্ত বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানা, যশোর এ জিডি করা হয়। নাম্বার ১০১, তারিখ ২৬/০৩/১৬ জিডি কারীর ফোন নাম্বার
: ০১৭১১২৪৫০৬৩, জিডি নাম্বার ১০১, তারিখ ২৬/০৩/১৬
মন্তব্যসমূহ
মাদক দ্রব্য অবৈধ ও হারাম। কিন্তু এরকম অবৈধ ও হারাম দ্রব্য বেচা-কেনা হয় কি ভাবে কাদের সাহসে তাও আবার মসজিদের মতো পবিত্র স্থানের আশে-পাশে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন