কৃষক ঘরে জন্ম
মেধাবী কলেজ ছাত্র মো. হুজাইফা খান সম্রাট (১৭)। বগুড়ার ধুনট উপজেলার
চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের বহালগাছা গ্রামের খয়রুজ্জামান খানের ছেলে। মা রেখা
খাতুন। খান বাহাদুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০১২ সালে দাখিল পাশ
করেন। বর্তমানে ধুনট উপজেলার নৎরতপুর হাজী কাজেম-জোবেদা টেকনিক্যাল অ্যান্ড
ম্যানেজমেন্ট কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন তিনি। ছোট বেলা
থেকেই স্বপ্ন ছিলো কিছু আবিষ্কারের। কাজের ধারাবাহিকতায় আবিষ্কারের চিন্তায় দুই বছর আগে স্বপ্ন
দেখেন মোবাইল ফোনের নেটওর্য়াকের মাধ্যমে নতুন কিছু করার। ভাবনার জগতে ডুবে
যান সম্রাট, মাথায় আসে রিমোট কন্ট্রোলের মতো মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যায়
কি-না। মোবাইল ফোনের ব্যবহার করে ঘরের
জানালা-দরজা খোলা ও বন্ধ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তিনি। নিজের ব্যবসা
প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারের সাহায্যে নতুন একটি সফটওয়্যার আবিষ্কার করে তা
মোবাইলে ইনস্টল করে সফল হন তিনি। পরীক্ষামূলক ভাবে সম্রাট দুইফুট
দৈর্ঘ্য, একফুট প্রস্থ্য ও এক ফুট উচ্চতা সম্পন্ন একটি কাচের ঘর তৈরি করেন।
সেই ঘরের দরজাও কাচের। মোবাইল ফোনে সিম লাগিয়ে ঘরের ভিতর দরজার সঙ্গে
আটকানো হয়। সিমকার্ডে রয়েছে গোপন পিন কোড। নিজের মোবাইল থেকে দরজায়
লাগানো মোবাইল নম্বরে পিনকোড ব্যবহার করে কল দিলে সহজেই খুলে যায় দরজার
পাল্লা। আবার প্রয়োজন অনুযায়ী কল করলে একই পদ্ধতিতে তা বন্ধ হয়ে
যায়। দরজা খুলতে বা বন্ধ হতে সময় লাগে মাত্র ৩০ সেকেন্ড। তবে পদ্ধতি সচল
রাখতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুত সংযোগ থাকা আবশ্যক। এদিকে সম্রাটের কাজ দেখতে প্রতিদিন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাজারো কৌতূহলী মানুষ ভিড় করছেন।সম্রাট বলেন, ঘরে দরজা ব্যবহারযোগ্য করে তৈরি করতে
ব্যয় হবে প্রায় ১ লাখ টাকা।
মন্তব্য
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন